হাতীম দুআ’ কবুলের অন্যতম এবং মুল্তাযাম’ দুআ’ কবুলের একটি উত্তম স্থান’

হাতীম দুআ’ কবুলের অন্যতম একটি স্থান’

‘হাতীম’ হলো কা’বা শরীফের ছাদ বিহীন অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোরাইশ নেতৃবৃন্দ যখন কা’বা শরীফের সর্বশেষ সংস্কার করেন, তখন তাঁদের নিকট হালাল টাকা কম থাকাতে সম্পূর্ণ কা’বা ঘরটি ছাদ সহ সংস্কার/নির্মাণ করতে পারেননি। ফলে কা’বা ঘরের এ অংশটি ছাদ বিহীন অবস্থায় থেকে যায়। কিন্তু চারদিকে ৪ ফুট উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরাও করে দেয়া হয়। আজ পর্যন্ত বহুবার কা’বা ঘর এবং মাসজিদুল হারামের সংস্কার করা হয়েছে, কিন্তু হাতীমকে ছাদ বিহীন অবস্থায়ই রাখা হয়েছে। 

এতে যুগ যুগ ধরে অগণিত ধর্মপ্রাণ মানুষ হাতীমের ভেতর নামাজ পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। হাতীমের মধ্যে নামাজ পড়া কা’বা শরীফের ভেতরে নামাজ পড়ার সমতুল্য। হাতীমে দাঁড়িয়ে কা’বা ঘরের ছাদের দিকে তাকালে ছাদের পানি নিস্কাশনের জন্য স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি নালা দেখা যায় (কা’বা শরীফের নক্শায় দেখুন)। এটাকে ‘মীজাবে রহমত’ বলে। মীজাবে রহমতের নিচে দাঁড়িয়ে দুআ’ করলেও দুআ’ কবুল হয়। 

সুতরাং আপনারা সময় সুযোগ মতো হাতীমে নামাজ পড়বেন এবং মীজাবে রহমতের নিচে দাঁড়িয়ে মন ভরে দুআ’- মুনাজাত করতে ভুলবেন না।

‘মুল্তাযাম’ দুআ’ কবুলের একটি উত্তম স্থান

মুল্তাযাম হলো - হাজরে আস্ওয়াদের কোণা থেকে কা’বা শরীফের দরজা পর্যন্ত স্থানটিকে মুল্তাযাম বলে। এটা দুআ’ কবুলের একটি উত্তম স্থান। নফল তওয়াফ করে মূলতাযামে দাঁড়িয়ে এ দুআ’ টি করতে পারেন। এখানে দাঁড়িয়ে বা কা’বার দরজার চৌকাঠ ধরে দুআ’ করা জায়েয। তওয়াফ করা ছাড়াও মূলতাযামে দাঁড়িয়ে এ দুআ’ করতে পারেন। 

দুআ’টি হলোঃ ‘হে আল্লহ্! হে প্রাচীন ঘরের রক্ষক! বাঁচাও আমাদেরকে, আমাদের মা-বাবা, সকল মুরব্বীদের, ভাই-বোন এবং সন্তানদেরকে দোযখের আগুন থেকে। হে মেহেরবান আল্লহ্! হে করুণাময়! আমাদের সব কাজের পরিণামকে করো সুন্দর। বাঁচাও আমাদেরে দুনিয়ার অপমান এবং আখেরাতের আযাব থেকে। হে আল্লহ্! আমি তোমার বান্দা, তোমার বান্দার সন্তান, দাঁড়িয়ে আছি তোমার ঘরের দরজায়। বুকে জড়িয়ে আছি তোমার ঘরের চৌকাঠ, আকুল হয়ে কাঁদছি তোমার সামনে, আরজ করছি তোমার রহমতের, ভয় করছি দোযখের আযাবের। হে চির মেহেরবান আল্লহ্! তোমার কাছে প্রার্থনা, কবুল করো আমার ইবাদাত, নামিয়ে দাও আমার পাপের বোঝা, ফয়সালা করে দাও আমার সব কাজকে, পবিত্র করো আমার অন্তরকে, মাফ করে দাও আমার গুনাহ্কে, এবং আলোকিত করে দিও আমার কবরকে। হে আল্লহ্! তোমার নিকট চাচ্ছি বেহেশ্তের উচ্চ মর্যাদা। হে দয়াময়, তুমি আমাকে জীবন-মৃত্যুর ফিতনা এবং দাজ্জালের ফিতনা থেকে হেফাযত করো।’ -আমীন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url